ফাস্ট চার্জার দিয়ে সাধারন মোবাইলে চার্জ দিলে কি ক্ষতি হবার সম্ভাবনা রয়েছে? জেনে নিন ফাস্ট চার্জার এর মাধ্যমে সাধারণ ফোনে চার্জ দেওয়া সম্পর্কে

Level 12
কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা

আসসালামু আলাইকুম। বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে অনেক বেশি ভালো আছেন। আজকাল আমরা মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে সবসময় ফাস্ট চার্জার দেখে কেনার চেষ্টা করে থাকি। নতুন মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে আমরা ফাস্ট চার্জিং সুবিধাযুক্ত মোবাইলকে সবার আগে বেঁছে নেই।

কিন্তু আমাদের বর্তমান ফোনটি যদি ফাস্ট চার্জিং সুবিধাযুক্ত না হয় তবে এটিতে কি ফাস্ট চার্জার দিয়ে চার্জ করা যাবে না? এরকম প্রশ্ন হয়তোবা আমাদের মাথায় প্রায়ই চলে আসতে পারে। কিন্তু আমরা এই প্রশ্নটিই হয়তোবা এখনো পর্যন্ত কাউকে করিনি। আপনার ফোনটি যদি ফাস্ট চার্জিং সুবিধাযুক্ত না হয়, তবে আপনার ফোনে কি Fast charger লাগিয়ে চার্জ দিতে পারবেন কিনা, এটি নিয়েই আলোচনা করব আজকের এই টিউনে। তো, এজন্য সম্পূর্ণ টিউন টি অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে দেখুন।

কি এই ফাস্ট চার্জার?

আজকে আমরা কথা বলবো মোবাইল ফোনের Fast charger নিয়ে। আপনারা হয়তোবা ইতিমধ্যেই এই ফাস্ট চার্জার সম্বন্ধে অনেক বেশি অবগত। যে চার্জারটি দিয়ে মোবাইল তাড়াতাড়ি চার্জ করে তাকে ফাস্ট চার্জার বলা হয়। তবে এই ফাস্ট চার্জার একেক কোম্পানি একেক নামে ডেকে থাকে। কোন কোম্পানি এটিকে বলে quick charger, adaptive fast charger, rapid charger ইত্যাদি সকল নামে।

এবার আপনাদের মনে প্রশ্ন হতে পারে যে, এসব আলাদা আলাদা নাম গুলো দিয়ে চার্জার গুলোর কি বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে। আপনাদের মনে এরকম প্রশ্ন জাগে যে, এসব জিনিস গুলো আসলে কি এবং কেনই বা এসব আলাদা আলাদা নামে চার্জার গুলোকে ডাকা হয়। তবে সমস্যা নেই, এসব বিষয়গুলো উত্তরই দিতে চলেছি আজকের এই টিউনটিতে। তার আগে বলেছি আপনি যদি আমাকে এখনো ফলো না করে না থাকেন, তবে এখনই ওপরের ফলো বাটন টি তে ক্লিক করে আমাকে ফলো করে রাখুন। আর যদি ইতিমধ্যেই আমাকে ফলো করে রেখে থাকেন তবে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

মোবাইলকে তাড়াতাড়ি চার্জ করার এই প্রক্রিয়াটি শুরু হয় ২০১৩ সালে। কোয়ালকম ২০১৩ সালে নতুন একটি প্রযুক্তি রিলিজ করে, যেটির নাম কুইক চার্জার। যেখানে এই চার্জার টি ছিল একটি ১০ ওয়াটের চার্জার। এর পূর্বে যেসব চার্জার গুলো ছিল সেগুলো কম ছিল; তবে যখন কোয়ালকম এর কুইক চার্জার টি চলে আসলো, তখন ফোনগুলো আরো দ্রুত চার্জ হতে লাগল এবং তখনই শুরু হল ফাস্ট চার্জিং এর কাহিনী। Quick charger কোয়ালকম এর মালিকানাধীন এমন একটি চার্জিং ব্যবস্থা বা প্রটোকল যা ইউএসবির মাধ্যমে সরবরাহিত পাওয়ার পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।

কোন একটি Quick charger দিয়ে ফোনকে দ্রুত চার্জ করার জন্য অবশ্যই সেই ফোনটি কে Quick charging সমর্থন করতে হবে। আর তা না হলে সেই Quick charger টি দিয়ে সেই ফোনটি চার্জ করা যাবে না। এখানে সেই ফোনটি চার্জ করা যাবে না বলতে, সেই ফোনটিকে ফাস্ট চার্জিং সুবিধার মাধ্যমে চার্জ করা যাবে না। তবে সেই ফোনটি স্বাভাবিক এর মত করেই চার্জ হবে। তবে বিষয়টিকে আপনাদেরকে সহজ ভাবে বোঝানোর জন্য একটু নিচে আলোচনা করছি।

ফাস্ট চার্জিং নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে প্রথমে একটি বিষয় চলে আসে; আর সেটি হচ্ছে, সেই চার্জারটি কত ওয়াটের। কোন একটি চার্জার দেখে আপনি হয়তোবা এখনো নির্ধারণ করতে পারেন না যে, এই চার্জারটি কত ওয়াটের। এই মুহূর্তে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনটি যদি ফাস্ট চার্জিং সুবিধাযুক্ত না হয় এবং আপনি যদি ফাস্ট চার্জার ব্যবহার না করে থাকেন, তবে আপনি যে চার্জারটি দিয়ে আপনার ফোনে চার্জ করছেন, সেটি কত ওয়াট এর এটি হয়তো বা আপনি এখনো জানেন না। তবে আপনি আপনার মোবাইলের চার্জার টির দিকে লক্ষ্য করলেই আপনি কিন্তু এই হিসাবটি বের করতে পারবেন। ‌আপনি আপনার চার্জার এর দিকে লক্ষ্য করলে দেখবেন যে, লেখা থাকে ভোল্ট (V) এবং এম্পিয়ার (A)।

আপনি আপনার চার্জার এর দিকে লক্ষ্য করলে দেখবেন, চার্জারটি তে Output হিসেবে ভোল্ট এবং এম্পিয়ার লেখা রয়েছে। যেমনভাবে ধরুন লেখা থাকতে পারে, Output: 5V-1A এভাবে। আপনি সব চার্জারের এভাবে দেখতে পাবেন Output: 5V-1A, Output: 5V-2A, Output: 9V-2A ইত্যাদি। এভাবে করে শুরুতে যদি 5V থাকে এবং 1A থাকে সেই সংখ্যা দুটোকে গুণ করলে যে ফলাফল আসবে সেটি হচ্ছে সেই চার্জারটির ক্ষমতা। অর্থাৎ, এখানে Output: 5V-1A দ্বারা নির্দেশ করছে, 5V×1A=5W চার্জার।

একইভাবে চার্জার টিতে যদি Output: 5V-2A থাকতো, তবে 5V×2A=10W এর চার্জার হত। সেভাবে করে কোন চার্জারের যদি Output: 9V-2A থাকে, তবে এটি 18 ওয়াট এর চার্জার। এভাবে করে আপনি যদি সকল চার্জারের ভোল্ট এবং অ্যাম্পিয়ার কে গুন করে দেন তবে সেই চার্জারটির ক্ষমতা বেড়ে যাবে। অর্থাৎ, সেই চার্জারটি কত ওয়াট এর সেটি আপনি এই দুটো সংখ্যাকে গুণ করলে পেয়ে যাবেন। এভাবে করে কোন চার্জার এর ওয়াট যত বেশি হয়, সেই চার্জারটি দিয়ে চার্জ এর স্পিড তত বেশি হয়।

এতসব আলোচনা তো গেল কোন একটি চার্জার কে চেনার উপায়। আপনার চার্জারটি কত ওয়াটের সেটি আপনি না জেনে থাকলে উপরের আলোচনা থেকে জেনে নিতে পারলেন। কিন্তু কোন একটি ফাস্ট চার্জার দিয়ে একটি সাধারণ ফোনে চার্জ দেওয়া যাবে কি না এটি আমাদের জানা দরকার। কোন একটি ফাস্ট চার্জার দিয়ে সাধারণ মোবাইলকে অর্থাৎ, যে মোবাইলে ফাস্ট চার্জিং সুবিধা নেই সেটিতে চার্জ দিলে কোন ক্ষতি হবে কিনা, কিংবা সেই মোবাইলটি বিস্ফোরণ হয়ে যাবার সংখ্যা আছে কিনা, ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে এবার আলোচনা করব। আশা করছি ফাস্ট চার্জার দিয়ে সাধারন মোবাইলে চার্জ দেবার ক্ষেত্রে আপনাদের সন্দেহ এবং কোন ভুল ধারণা থাকলে দূর হয়ে যাবে।

ফাস্ট চার্জার দিয়ে কি সাধারণ মোবাইলে চার্জ করা যাবে?

ফাস্ট চার্জার দিয়ে সাধারন কোন মোবাইলে চার্জ দিলে সেটি সেখানে কাজ করবে না। এখানে কাজ করবে না বলতে, সেই মোবাইলটিতে ফাস্ট চার্জিং হবে না। বরং, সেই ফোনটিতে স্বাভাবিক এর মতই চার্জ হতে থাকবে যেমনটি সেই ফোন অন্যান্য সকল সাধারণ চার্জার থেকে নিতে পারে। এক্ষেত্রে সে ফোনটির ও ক্ষমতা থাকতে হবে সেই চার্জার থেকে পূর্ণ চার্জ নেবার জন্য। যে ফোনটি ফাস্ট চার্জিং সাপোর্টেড না সেই ফোনে ফাস্ট চার্জার লাগালে ও কোন লাভ হবে না।

এবার প্রশ্ন হতে পারে যে, কোন একটি ফোন ফাস্ট চার্জিং সাপোর্টেড না; কিন্তু সেই ফোনে যদি ফাস্ট চার্জার লাগিয়ে দেন, তবে সেই ফোনের ক্ষতি হবে কিনা? এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হয়না। কারণ প্রত্যেকটি ফোনের মধ্যে একটি টেকনোলজি থাকে, যেখানে ফোন চার্জার এর সাথে কমিউনিকেট করে। এখানে সোজা ভাষায় বলতে গেলে, "চার্জার বলে ভাই, আমি আপনাকে ১৮ ওয়াট দিতে পারব, কিন্তু ফোন বলে আমি ১০ ওয়াট নিতে পারব এবং দশ ওয়াট হলেই আপনার চলবে"। যেখানে এই বিষয়টিকে ফোনের Charge controller নিয়ন্ত্রণ করে।

সেই ফোনের ব্যাটারি তে আসা Electricity level যদি ক্ষতিকারক মাত্রা অতিক্রম করে, তবে IC সেই অতিরিক্ত চার্জ কে বাধা প্রদান করে। এক্ষেত্রে যে চার্জটি সে নিতে পারবে, শুধুমাত্র সে চার্জ টিকে চার্জার থেকে নেয়। আর এজন্য ফোনের কোন ক্ষতি হয় না। কেননা কোন একটি ১৮ ওয়াটের চার্জার দিয়ে একটি ফোন কে চার্জে দিলে সেই ফোনটি যদি সেটি নিতে না পারে, তবে চার্জার ও সেই অতিরিক্ত চার্জ ফোনটিকে দেয় না। তো, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফাস্ট চার্জার দিয়ে চার্জ করলে ফোনের কোন সমস্যা হয় না।

তবে ফাস্ট চার্জার দিয়ে কোন সাধারণ ফোনে চার্জ দেওয়া প্রস্তাবিত নয় এবং মোবাইল ফোন উৎপাদকেরা ও বলে থাকে, ফোনের সঙ্গে যে চার্জারটি দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র সেই চার্জারটি দিয়ে ফোনে চার্জ করতে। ফোনের সঙ্গে যে চার্জারটি আসে এবং যে ওয়াট এর চার্জারটি আসে, সেটি ব্যবহার করার জন্য এবং সেটি ব্যবহার করাই সবচাইতে ভালো হবে। ফাস্ট চার্জার দিয়ে সাধারণ ফোনে চার্জ করলে যে ফোনের ব্যাটারি ফেটে যাবে এমনটি খুবই ব্যতিক্রমধর্মী হয়ে থাকে। যেমনটি হয়ে থাকে সেই নষ্ট চার্জার এবং খারাপ ব্যাটারির কারণে। কোন ভালো একটি ফাস্ট চার্জার দিয়ে যতই সাধারণ মোবাইলে চার্জ করা হোক না কেন সেটির ব্যাটারির উপর এরকম কোনো প্রভাব পড়বে না।

সেই ব্যাটারীতে যত পরিমাণ চার্জার নিতে পারবে, শুধুমাত্র সে পরিমাণ চার্জ সেই চার্জারটি সেই ব্যাটারিকে দিবে। এক্ষেত্রে চার্জার এর ভেতরে ও IC লাগানো রয়েছে। একইভাবে আপনি যদি কোন একটি ফাস্ট চার্জিং সুবিধাযুক্ত পাওয়ার ব্যাংক থেকে ও আপনার মোবাইলটিকে চার্জ করেন তবুও এক্ষেত্রে আপনার মোবাইলের কোন ক্ষতি হবে না। আপনার মোবাইলটি যদি ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট না হয়ে থাকে তবুও সেই পাওয়ার ব্যাংক থেকে আপনার মোবাইলে চার্জ করা যাবে। এক্ষেত্রে আপনার মোবাইলে চার্জার দিয়ে চার্জ করার মতো করেই সাধারণ গতিতে চার্জ হবে এবং আপনার ফোনে কোন সমস্যা হবে না।

ফাস্ট চার্জার কে একেক কোম্পানি একেক নামে বলে কেন?

আপনারা হয়তোবা দেখে থাকবেন প্রত্যেকটি ব্রান্ডের ফোনে একটা চার্জার কে আলাদা আলাদা নামে ডাকা হয়। ফাস্ট চার্জার কে একেক কোম্পানি একেক নামে ডাকলে ও টেকনোলজি কিন্তু একই। কোয়ালকম যেহেতু এই চার্জারটি কে প্রথমে Quick charger নামে ব্রান্ডিং করে ফেলেছে, এই জন্য অন্যান্য কোম্পানি গুলো এটিকে বিভিন্ন নামে ডাকে। সেজন্য ফাস্ট চার্জার কে কেউ বলে Quick charger, Adaptive fast charger, Rapid charger ইত্যাদি নামে। কিন্তু এখানে দ্রুত চার্জ করার টেকনোলজির কিন্তু একই; কিন্তু বিভিন্ন কোম্পানি এটিকে বিভিন্ন নামে বলে থাকে।

ফাস্ট চার্জার কে বিভিন্ন নামে ডাকা হলেও এটির কার্যক্ষমতা ঠিকই আছে। যেমনভাবে কোন মোবাইলের কনফিগারেশন এক হলেও সেই মোবাইলের ব্রান্ড অনুসারে সেটিকে অন্য নামে ডাকা হয়। তেমনি ভাবে এই ফাস্ট চার্জার টিকে প্রত্যেকটি কোম্পানি আলাদা আলাদা নামে ডেকে থাকে। আর এতে করে কোনো একটি চার্জার এর নাম শুনলেই সেই ব্রান্ডের কথা মাথায় চলে আসবে। যে বিষয়টি আপনার হয়তোবা ইতিমধ্যেই বুঝতে পেরেছেন।

শেষ কথা

ফাস্ট চার্জার দিয়ে আপনার সাধারণ ফোনটিতে চার্জ করার বিষয়ে আপনি হয়তো বা ইতিমধ্যেই জেনে থাকতে পারেন। কিন্তু যারা ফাস্ট চার্জার দিয়ে নিজের ফোনে চার্জ করার বিষয়ে সন্দেহ ছিল আশা করছি তারা আজকের টিউনটির মাধ্যমে সে বিষয় সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। আপনি আপনার ফোনটিকে নিশ্চিন্তে ফাস্ট চার্জার দিয়ে চার্জ করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার ফোনের ব্যাটারির কোন সমস্যা হবে না যদি আপনার চার্জারটি ভালো থাকে। এছাড়া আপনি ফাস্ট চার্জিং সুবিধাযুক্ত পাওয়ার ব্যাংক দিয়েও আপনার সাধারন মোবাইলটিকে চার্জ করতে পারবেন; এতে করে আপনার মোবাইলের ব্যাটারির কোন সমস্যা হবেনা ইনশাআল্লাহ।

আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে স্মার্টফোনের ফাস্ট চার্জিং এর বিষয়টি আসলে কি এবং ফাস্ট চার্জার দিয়ে আপনার ফোনে চার্জ করলে ক্ষতি হবার সম্ভাবনা কতটুকু রয়েছে। যদি আপনার কাছে আজকের টিউনটি সত্যি ভালো লেগে থাকে তবে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে তাদেরকে জানানোর সুযোগ করে দিবেন এবং আপনার কাছে যদি আজকের টিউনটি তথ্যবহুল মনে হয় তবে টিউনটিতে একটি জোসস করবেন। এছাড়া আমাকে পরবর্তী দিনগুলো করার উৎসাহ দেবার জন্য অবশ্যই উপরের ফলো বাটনে ক্লিক করে ফলো করে রাখবেন।

Level 12

আমি মো আতিকুর ইসলাম। কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 333 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 60 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।

“আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন।” —হযরত মোহাম্মদ (সঃ)


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস